দ্যা রুরাল সেলসম্যান

এই লোকগুলো চাইলে অভাবের তাড়নায় ভিক্ষা করতে পারতো।
এরা খেটে খাওয়া মানুষ। পঞ্চাশ একশো টাকাই এদের পুঁজি। এদের থেকে কোনো কিছু কিনতে গেলে বেশি দরদাম না করাই ভালো। এই শ্রেনীর মানুষেরা আমাদের দিকেই চেয়ে থাকে। কখনো কখনো এসব প্রোডাক্ট অবিক্রিতই থেকে যায়। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ১০ টাকার প্রোডাক্ট এদের থেকে কিনতে গেলে ৫ টাকায় কেনার চেষ্টা করি। ৫ টাকায় না পেলে না কিনে চলে যাই। কারণ, আমরা এদের দুর্বলতা সহজেই বুঝতে পারি। ১০ টাকার প্রোডাক্ট ৫ টাকা বলতে বলতে একসময় এরা ৫ টাকায়ই বিক্রি করে দেয়। নাহয় এগুলো বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, ঘরের লোকজন না খেয়ে থাকবে। অথচ, আমরা এই প্রোডাক্ট গুলোই বড় কোন দোকান থেকে কেনার সময় দর-দাম না করতে পেরে বেশি দামে নিয়ে আসি। আমাদের এরকমটা করা উচিত না। ৫-১০ টাকা আমরা সবসময় দান খয়রাতও করে থাকি, এদের ৫-১০ টাকা বাড়িয়ে দিতে আমাদের মোটেই কার্পণ্য করা উচিত না। এরা ঠিক ঐ শ্রেনীর মানুষ, যাদের আমরা ৫-১০ টাকা ভিক্ষা দিয়ে থাকি। পার্থক্য একটাই, ওরা অলসতায় ভিক্ষা করে আর এরা ভিক্ষা না করে সল্প পরিমান রোজগার করে। এই মানুষগুলোর কাছ থেকে কোনো কিছু কেনার সময় একদিন খেয়াল করে দেখবেন, দুই টাকা বেশি পেলে এদের মুখে কতখানি হাসি ফুটে ওঠে। আর সেই হাসিটা কতখানি মূল্যে পৌঁছায়।
মহান আল্লাহ তায়া’লা আমাদের এই ছোটখাটো ব্যাপারগুলো সঠিকভাবে বোঝার তৌফিক দান করুক। আমীন...